এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে ও সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
পরে অভিযুক্ত এসআই নূরে আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলে ৩ ঘণ্টা পর শনিবার সকাল ১০টার দিকে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে (এসআই) নূরে আলম চলাচলকারী একটি ট্রাক থামিয়ে চাঁদা দাবি করে। এ সময় চালক চাঁদা দিতে না চাইলে তার মুখমন্ডলে আঘাত করে এসআই নূরে আলম। এতে চালকের চোখ ফুলে যায়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সেতু দিয়ে চলাচলকারী অন্য ট্রাকচালকরা সকাল ৭টার পর বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড়ে মহাসড়কের ওপর এলোপাথারিভাবে ট্রাক রেখে অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
পরে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহাদুজ্জামান মিঞা, কালিহাতী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান মনিরসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও টাঙ্গাইল জেলা ট্রাক শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বালা মিঞাসহ শ্রমিক সংগঠনের নেতারা এক বৈঠকে বসেন।
পরে অভিযুক্ত এসআই নূরে আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলে ৩ ঘণ্টা পর শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।
টাঙ্গাইল জেলা ট্রাক শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বালা মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত এবং আহত ট্রাক চালকের সকল চিকিৎসার ব্যয়ভার পুলিশ বহন করায় অবরোধ তুলে নেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহাদুজ্জামান মিঞা বলেন, এসআই নুরে আলমকে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হবে।